প্রোটিন শেক তরুণদের কাছে জনপ্রিয় একটি পানীয়। এটি মূলত একটি টিন সাপ্লিমেন্ট, অর্থাৎ খাবারের পাশাপাশি সম্পূরক উপাদান হিসেবে কাজ করে। কোনোভাবেই এটি খাবার থেকে যে প্রোটিন মেলে তার বিকল্প নয়। আবার প্রোটিন শেক খাওয়া নিরাপদও নয়।
সাধারণত ব্যায়ামের পর দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন ধরনের পানীয় গ্রহণ করা হয়। তবে প্রোটিন শেক গ্রহণের কারণে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও হতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, পেশি গঠন করার উদ্দেশ্যে কিংবা ব্যায়ামের পর দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য বাড়তি প্রোটিন প্রয়োজন হতে পারে। প্রোটিন গ্রহণে যাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই, তাদের জন্য প্রোটিন শেক ভালো। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন শেক গ্রহণ করা উচিত নয়। প্রয়োজন না থাকলে উচ্চমাত্রার প্রোটিন-সমৃদ্ধ এমন পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি যদি মাঝারি বা ভারী ব্যায়াম করেন, তাহলে তিনি এমন প্রোটিন শেক বেছে নিতে পারেন, যা থেকে তিনি ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন পাবেন। তবে ২৪ ঘণ্টার ভেতর একাধিক প্রোটিন শেক গ্রহণ করা যাবে না। আর হালকা ব্যায়াম করলে ১০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, এমন পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রোটিনের মাত্রা সীমার মধ্যে থাকলেও প্রোটিন শেকে থাকা বাড়তি চিনি এবং ক্যালরির কারণে দেহে বাড়তি মেদ জমা হতে পারে। তাই প্রোটিন শেক কেনার সময় এর প্রোটিন, চিনি ও ক্যালরির মাত্রা ভালোভাবে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
কোনো কোনো প্রোটিন শেকে ভারী ধাতু ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকতে পারে। তাতে দীর্ঘমেয়াদি নানান রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য প্রোটিন শেক বেছে নেওয়া প্রয়োজন।
প্রোটিন শেকে যদি থাকে পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট ও কিছুটা ভিটামিন ডি, তাহলে তা বেশ উপকারী হতে পারে। তবে লবণ গ্রহণের ব্যাপারে বিধিনিষেধ থাকলে বাড়তি ইলেকট্রোলাইটের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।