ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে মাঝারি পাল্লার রকেট লঞ্চার হিমারস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের আশঙ্কার কথা জানালেন রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরেও হামলা চালাতে পারবে ইউক্রেনীয় সেনারা।
যদিও ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলেছে, এই রকেট লঞ্চার দিয়ে রাশিয়ার ভুখণ্ডে আঘাত করার অনুমতি কিয়েভকে দেয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি কোনো সংঘাতে জড়াতে চায় না।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এই রকেট সিস্টেম দেয়া সম্পর্কে বলেছেন, আমরা এমন কোনো অস্ত্র সরবরাহ করছি না, যা ইউক্রেনীয়দের ইউক্রেনের ভেতর থেকে রাশিয়াকে আক্রমণের অনুমতি দেবে এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এ বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন, আমরা যুদ্ধের (একটি) পক্ষ হতে যাচ্ছি না।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে অগ্রসরমান রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে এসব দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে। রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
তবে রিয়াবকভ এই যুক্তির সঙ্গে একমত নন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেকোনো অস্ত্র সরবরাহ যদি অব্যাহত থাকে এবং বৃদ্ধি পায়, তা সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ায়। এই সরবরাহ পরিস্থিতির মৌলিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধু ঝুঁকি বাড়ছে।’
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই করেনি।
এদিকে ইউক্রেনে হিমারস সরবরাহ করার ইস্যুতে রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু বাহিনী মহড়া চালাচ্ছে।
রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মস্কোর উত্তর-পূর্বে ইভানোভা প্রদেশে পরমাণু বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সেনা এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। ১০০টিরও বেশি সামরিক যান ও আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চার ইয়ারসও মহড়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মহড়ায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে না।