গত মাসের ২৮ তারিখে গ্রিসে দুটি ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে, এতগুলো মানুষের প্রাণ হারানোয় মেনে নিতে পারছে না দেশটির বহু মানুষ।
এরজন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে ক্ষুব্ধ জনগণ। ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দেখতে চাচ্ছেন তারা।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী এথেন্সে বিক্ষোভে জড়ো হয় কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ। পুলিশ ক্ষুব্ধদের থামাতে চড়াও হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন, আটক হন পাঁচজন।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক বার্তায় তিনি লিখেন, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে গ্রিসে... দুটি ট্রেন এক লাইনে চলতে পারে না।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, কয়েকজন বিক্ষোভকারী ময়লার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস এবং শব্দ বোমা ছুড়ে পুলিশ। কিছু সময়ের জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজপথ।
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এদিন আকাশে শত শত কালো বেলুন উড়াতে দেখা যায় আন্দোলকারীদের। কিছু কিছু বেলুনে সরকারবিরোধী কথা উল্লেখ ছিল।
এই দুর্ঘটনাকে মনুষ্য ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলায় হত্যার অভিযোগে এনে (৫৯) স্টেশন মাস্টারকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাকে এখনও পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান।