× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বাসায় বাংকার চাইছেন ইউরোপের ধনীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৯ এএম

যুদ্ধ ও মহামারির মতো সংকট আজ আর শুধু ইতিহাসের পাতায় সীমিত নেই। ইউরোপের মানুষ বাস্তব জীবনেই সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। আর তাই পোল্যান্ডের এক কোম্পানি বিত্তবান মানুষের নিরাপত্তার অভিনব ব্যবস্থা করছে।

ডাভিড রুবিকি পোল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে এক পারিবারিক ব্যবসা চালান। ফেরোপ্লাস্ট কোম্পানির কারখানায় ৩০০ শ্রমিক ধাতু শিল্পের জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন। বিশেষ করে গাড়ি শিল্পখাত এই কোম্পানির অন্যতম প্রধান গ্রাহক।

কিন্তু সম্প্রতি এই কোম্পানি বাংকার ও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে সুরক্ষার শেল্টার তৈরির কাজ শুরু করেছে। একটি সিঁড়ি দিয়ে ভবিষ্যতে মাটির নিচে বাংকারে নেমে যাওয়া যাবে। আজ সেই বাংকারের সামনের দরজা তৈরি হচ্ছে।

নিজের কারখানা ঘুরিয়ে দেখানোর সময় ডাভিড বলেন, ‘এই মুহূর্তে ওয়েল্ডার বুলেটপ্রুফ এআর ইস্পাত দিয়ে শেল্টারের স্টিল হ্যাচ ওয়েল্ডিং করছেন। ভেতরেও বাড়তি তালা রয়েছে। মোট ছয়টি তালা থাকায় বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পরিবারের সঙ্গে এখানে লুকিয়ে থাকা যায়। ওয়েল্ডিংয়ের কোনও প্রয়োজন নেই। ট্রাকে করে তুলে এনে কংক্রিটের খাঁজে নামিয়ে দেড় মিটার মাটি চাপা দিলেই হবে।’

গ্রাহকের বাড়ির পেছনে ফলআউট শেল্টার তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রণালীর মধ্যে আপৎকালীন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ডিজেল জেনারেটর রয়েছে। বাতাস নির্মল রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে। ডাভিড বলেন, ‘বাইরে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটলে এই প্রণালী গামা রশ্মির প্রতিটি রেডিয়েশন পার্টিকেল বা কণা ফিল্টার করে। শেল্টারের মধ্যে বাতাস চালান করা হয়। একেবারেই কোনও বিদ্যুৎ না থাকলে হাতে করে বিদ্যুৎ সৃষ্টির উপায়ও রয়েছে।’

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে প্রতি ঘণ্টায় ২০ মিনিট ধরে হ্যান্ড ক্র্যাংক ঘোরালে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে। বিলাসবহুল এই ফলআউট শেল্টারে আট জন পর্যন্ত মানুষ ভালোভাবেই বাস করতে পারেন। শোবার জায়গা, বাথরুম, রান্নাঘর ও বসার ঘরও রয়েছে। এমন সুরক্ষার মূল্য সাড়ে তিন থেকে ছয় লাখ ইউরো হতে পারে।

কিন্তু ক্রেতারা কেন এমন বাংকার তৈরি করাতে চান? ফেরোপ্লাস্ট কোম্পানির কর্ণধার রুবিকি এমন চাহিদা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘দুই বছর আগে আমরা কোভিডের মুখে পড়েছিলাম। এখন যুদ্ধ চলছে। কেউ ভাবেনি, ইউরোপে যুদ্ধ হবে। কিন্তু এখন সেটাই ঘটছে। চীন ও তাইওয়ান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত রয়েছে। এখন মিডিয়ায় শুনছি, খাদ্য সংকট আসছে। পানির সংকট। কেউ জানে না কী ঘটতে চলেছে। তাই নিরাপদ বোধ করতে হলে আমরা সেই সমাধানসূত্র দিচ্ছি।’




Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.