× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

অমৃত পাল সিংহকে নিয়ে ভারতে এত বিতর্ক কেন?

সংবাদ সারাবেলা ডেস্ক

২২ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩১ এএম

স্বাধীনতার পর শরণার্থী স্রোত, খালিস্তানি আন্দোলন কিংবা কৃষক আন্দোলন, বার বার অশান্ত হয়েছে ভারতের পাঞ্জাব। স্থিতাবস্থা সরিয়ে পাঞ্জাবে নতুন করে ঘনাচ্ছে অশান্তির মেঘ। এই আশঙ্কার নেপথ্যে রয়েছেন ৩০ বছরের এক যুবক এবং তাঁর সাম্প্রতিক কিছু কার্যকলাপ। স্বঘোষিত খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহকে অনেকেই ডাকছেন ‘ভিন্দ্রানওয়ালে টু’ বলে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই, অমৃতপাল নিজেকেও জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের উত্তরসূরি হিসাবেই দেখছেন। তাঁকে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাঞ্জাব সরকার। কিন্তু কে এই অমৃতপাল?

অমৃতপাল ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ বলে একটি ধর্মীয় সংগঠন চালান। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘পাঞ্জাবের উত্তরাধিকারী’। এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পাঞ্জাবের অভিনেতা তথা রাজনীতিক দীপ সিধু। ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান দীপ। তাঁর মৃত্যুর পর সংগঠনের প্রধান হন অমৃতপাল। প্রথম দিকে সংগঠনটি বঞ্চনার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়ার কথা বলত। কিন্তু অমৃতপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠনের কার্যকলাপ আরও ‘চরমপন্থী’ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। সরাসরি স্বতন্ত্র খালিস্তানের দাবি জানাতে শুরু করে ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’। এমনকি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা দীপের ভাই মনদীপ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমার ভাই আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করার কথা বলত। কিন্তু অমৃতপাল যুব সম্প্রদায়ের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলছেন।” কিছু মাস আগে তাঁর এক বক্তৃতায় অমৃতপাল দাবি করেছিলেন, শিখেরা ১৫০ বছর ধরে ‘দাসত্ব’ করছেন। ‘দাসত্বের মানসিকতা’ থেকে শিখদের এবং পাঞ্জাবকে রক্ষা করা প্রয়োজন।

১৯৯৩ সালে অমৃতসর জেলার বাবা বাকালে তহসিলের জল্লুপুর খেরা গ্রামে অমৃতপালের জন্ম। কিছু বছর আগে দুবাই থেকে ফেরা অমৃতপাল তাঁর ‘খালিস্তানি’ পরিচয় নিয়ে রীতিমতো গর্বিত। নিজেকে ‘ভিন্দ্রানওয়ালের অনুগামী’ বলে পরিচয় দেওয়া এই ধর্মীয় নেতা নানা প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখে আগেও সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। ভিন্দ্রানওয়ালের মতোই সামরিক পোশাক পরেন অমৃতপাল। এমনকি দীপের মৃত্যুর পর সংগঠনের নেতা হিসাবে যখন তাঁকে বেছে নেওয়া হয়, তখন এই সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হয়েছিল ভিন্দ্রানওয়ালের গ্রাম মোগা জেলা রোদ গ্রামে। পাঞ্জাব পুলিশের একটি সূত্র বলছে, অমৃতপালকে নেতা বেছে নেওয়ার ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন প্রায় এক হাজার সমর্থক। খালিস্তানের দাবিতে রক্তঝরা আন্দোলন আগেও দেখেছে পাঞ্জাব।

এদিকেঅমৃতপালের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস এবং জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। খলিস্তানি নেতাকে খুঁজে বার করতে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সাহায্যও নিচ্ছে তারা।

কিন্তু কোথায় উধাও হয়ে গেলেন অমৃতপাল? এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। শুধু তাই-ই নয়, খলিস্তানি নেতাকে খুঁজে বার করা পাঞ্জাব পুলিশের কাছে বিশাল একটা চ্যালেঞ্জও বটে। বিশেষ করে মঙ্গলবারই পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা আদালত প্রশ্ন তুলে রাজ্য পুলিশকে ধমক দেয়, ৮০ হাজার পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালালেন খালিস্তানি নেতা? পাঞ্জাব পুলিশকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অমৃতপালের পালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে তাঁকে একটি বাইকে চেপে পালাতে দেখা গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পাঞ্জাব পুলিশের উপর আরও চাপ বেড়েছে।


 



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.