করোনা
মহামারির কারণে দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিয়েছে দেশটি। সম্পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণ ছাড়া দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন না কেউ।
বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত খোলার দিনই দেশটিতে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট নেমেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার
সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে
অবতরণ করেছে ২৭টি ফ্লাইট। এতে করোনার বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির পর্যটন খাতে আশার আলো ফিরতে শুরু করেছে।
সীমান্ত
খুলে দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, ‘আজ একটি খুবই
উত্তেজনাপূর্ণ দিন, যে দিনের জন্য
আমি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। মহামারির শুরুতে যেদিন আমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সেদিন থেকেই আমি এ দিনের অপেক্ষায়
ছিলাম।
২০২০
সালের মার্চে দিকে সীমান্ত বন্ধ করে দিলে অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কিছুটা চাপের মুখে পড়ে। কারণ দেশটির অর্থনীতি পর্যটন খাত নির্ভর। তবে সীমান্ত খোলায় দেশটি হয়ত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
অস্ট্রেলিয়া
সবচেয়ে দীর্ঘ সময় লকডাউনের মধ্যে ছিল। এ নিয়ে বেশ
সমালোচনার মুখেও পড়েছে। তবে এমন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় খুব সহজেই করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা কুড়িয়েছেন। দেশটিতে সংক্রমিত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৯২৯
জন মারা গেছেন।