ইসরায়েলের দিকে বিপুল রকেট ছোড়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির নেতারা এই যুদ্ধের নাম দিয়েছেন ‘অপরেশেন আল-আকসা স্টর্ম’।
শনিবার দুপুরের আগে এক বিবৃতিতে হামাসের শীর্ষ নেতা মোহাম্মেদ দেইফ বলেন, ‘আমরা অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু করেছি। শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিভিণ্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৫ হাজার রকটে ছুড়েছি। ইসরায়েলকে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) সেখানকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ায়োভ গ্যালেন্ত জানিয়েছেন, এ হামলার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আইডিএফ ইতোমধ্যে ময়দানে নেমেছে।
বেশ কিছু আততায়ী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মোহাম্মেদ দেইফি গত কয়েক বছর ধরে কখনও জনসম্মুখে আসেন না, তিনি কোথায় থাকেন— তা ও জানে কেবল গোষ্ঠীর খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। শনিবার যে বিবৃতিটি প্রচার করা হয়েছে, সেটি ছিল তার রেকর্ডকৃত বক্তব্য।
গত কয়েক সপ্তাহ গাজা ও পশ্চিম তীর সীমান্তে ইসরায়েল- ফিলিস্তিন উত্তেজনা চলার পর শনিবারের এই রকেট হামলা শুরু করল হামাস।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে জানানো হয়, গাজার বিভিন্ন অবস্থান থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রকেট ছোড়া শুরু হয়।
রকেট হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের উদ্ধারকারী সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি ভবনে পড়া রকেটে গুরুতর আহত হন ৭০ বছর বয়সী এক নারী। রকেটের শার্পনেলের আঘাতে ২০ বছর বয়সী এক যুবক সামান্য আহত হন।
এদিকে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, গাজা থেকে ছোড়া রকেটে ইসরায়েলি এক নারী নিহত হয়েছেন।
এমন বাস্তবতায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, বেশ কিছু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে।