ফিলিস্তিনের হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বুধবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৯৭৩ জন। এর মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৯৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর পশ্চিমতীরে ২৩ জন। একই সঙ্গে গাজা ও পশ্চিমতীরে যথাক্রমে আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ও ১৩০ জন।
এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০০ জনে। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭ জন।
গত শনিবার সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হত্যাকাণ্ড চালায় তারা। জবাবে গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
বিবিসি বলছে, ক্রমেই যুদ্ধের পরিবেশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইসরায়েলের এক জেনারেল বলেন, যুদ্ধের সময় শিশুদেরও তাদের বেডরুমে হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি সেনাদের শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে।
যুদ্ধের কারণে বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এ উপত্যাকায় কোনোভাবে জ্বালানি ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে যুদ্ধের মধ্যে তেল সংকটের কারণে যে কোনো সময় এটির সর্বশেষ বিদ্যুতের উৎসও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ব্রিটিশ ফিলিস্তিনি এক চিকিৎসকের যুদ্ধের ভয়াবহতার বিষয়ে বলেন, এমন পরিবেশ চলতে থাকলে এই সপ্তাহের যেকোনো সময় এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
এদিকে যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দেশটিতে সফরে গিয়ে ইসরায়েলের সিনিয়র নেতাদের সাথে আলোচনা করবেন তিনি। গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা চলমান থাকায় অঞ্চলের বেসামরিক লোকদের নিরাপত্তার জন্য কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকি সুলিভান বলেন, আমরা এখন এ বিষয়টির ওপর ফোকাস করছি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার হামাস ইসরায়েলে হঠাৎ হামলা চালালে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু ইসরায়েল। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে উভয়পক্ষের হতাহতের সংখ্যা।