রাশিয়ার পক্ষ থেকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা জের ধরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।- খবর বিবিসির। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি ড্যানিলোভ জানান, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক ছাড়া অন্য সব অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। ঐ দুই অঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের লড়াই চলছে।
তিনি আরো জানান, জরুরি অবস্থা জারির জন্য অবশ্যই ইউক্রেনের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এ জরুরি অবস্থা ৩০ দিনের মতো থাকতে পারে। রাশিয়া বলছে, তারা খুব শিগগির ইউক্রেনে নিযুক্ত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে। মঙ্গলবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, দেশটির পার্লামেন্টে বিদেশে নিজ দেশের সেনা মোতায়েনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুমোদন দেন আইনপ্রণেতারা। তারপরেই এমন ঘোষণা সামনে এলো। মস্কো বলছে, ইউক্রেনে অবস্থানরত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের (ইউক্রেনে অবস্থিত দূতাবাস কর্মী) জীবন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনে অবস্থিত রাশিয়ার বিদেশি দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাশিয়া শীর্ষ নেতারা। খুব শিগগির তা বাস্তবায়ন হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের দূতাবাস কর্মীদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে বার বার হামলার ঘটনা ঘটছে। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা শুরুর পর কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত লিয়েভ সীমান্তে দূতাবাস সরিয়ে নিয়েছে বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ। এদিকে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি ঐ দুই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দেন তিনি।