বাংলাদেশের বিরোধী নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া জাতিসংঘের সমালোচনা করে বাংলাদেশের সরকারি দলের নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়টিও ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি ও গণগ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে আটকের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতাসীন দলের সেক্রেটারি বলেছেন, জাতিসংঘ অকেজো এবং কিছু ভালো কথা বলা ছাড়া বিশ্বে এই সংস্থাটির আর কোনও ভূমিকা নেই। বাংলাদেশে ৮ হাজার বিরোধী বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে এবং পুলিশের হাতে সর্বত্র মানুষ নিহত হচ্ছে, এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের সমালোচনা নতুন কিছু নয়। আমি মনে করি, বিভিন্ন সময়ে এমন অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন- আপনি জাতিসংঘের কোন অংশের কথা বলছেন, তা সবসময় উল্লেখ করবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে গত সপ্তাহে আমরা যা বলেছি, এখনও তাই উল্লেখ করব। বাংলাদেশে গণগ্রেপ্তারসহ সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এর আগে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে জাতিসংঘ বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, হয়রানি ও সহিংসতা দেখতে চায় না বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলেও চলতি নভেম্বরের শুরুতে জানিয়ে দেয় জাতিসংঘ।
গত বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমি মনে করি আমরা খুব স্পষ্টভাবেই কথা বলেছি। আমরা এই সময়ে কোনও ধরনের হয়রানি বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা সহিংসতা চাই না।