কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ শহরে একটি ছয় তলা আবাসিক ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তার মধ্যে ৪ জন ভারতীয়। কিন্তু কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের ৪০ জনই ভারতীয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কুনা জানিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শ্রমিকদের ব্যবহৃত রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ভবনটির সমস্ত ফ্লোরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। অন্যরা প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পেরে দমবন্ধ এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।
মানগাফের ক্রিমিনাল এভিডেন্সের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইদ আল ওয়াইহান নিশ্চিত করেছেন, প্রাথমিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৫। পরে আহতদের মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে মারা যান।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে অন্তত ৪১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, অগ্নিকাণ্ডে আহত প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী আল-আদান, ফারওয়ানিয়া, জাবের ও মুবারক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি জানিয়েছে, বাণিজ্যিক এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত ভবনটিতে প্রায় ১৯৫ জন শ্রমিক বসবাস করতেন। ভবনটির মালিক ভারতীয় মালয়ালি ব্যবসায়ী কেজি আব্রাহামের মালিকানাধীন এনবিটিসি গ্রুপ।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘কুয়েত শহরে অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। সেখানে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের রাষ্ট্রদূত ওই ক্যাম্পে গিয়েছেন। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। দুঃখজনকভাবে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি। আমাদের দূতাবাস এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে।’
সংবাদ সারাবেলা: স/মীরাসু