সব আন্তর্জাতিক
মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে আবারও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকার
ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তার জন্য আরও ২০ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। খবর আলজাজিরার।
মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তর থেকে গতকাল (১৩ আগস্ট) ঘোষণা করা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন। যার মধ্যে ট্যাংক, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, কয়েক
ডজন যুদ্ধ বিমান ও নানা ধরনের যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে।
বিবৃতিতে
তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামরিক শক্তি
এবং আত্মরক্ষার সক্ষমতার বিকাশ ও প্রস্তুতি বজায় রাখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা মার্কিন
জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যাবশ্যক।
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধবিরতির কথা বলে আসছে, এ জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে
প্রকাশ্যে ক্রমাগত আহ্বান জানাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজায় মানবিক
সংকট সমাধানের আশা দেখছিল। কিন্তু আরেকদিকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা জোরদার করে। চলতি সপ্তাহে
তারা একটি স্কুলে হামলা করে শতাধিক হত্যা করে। এরই মধ্যে নতুন অস্ত্র পেতে যাচ্ছে দখলদাররা।
মার্কিন অস্ত্রে
সজ্জিত হয়ে ইসরায়েল আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেছে। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বাস্তচ্যুত
মানুষ। মুহূর্তে নতুন মৃত্যুর খবর আসছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, শনিবার
তিনটি ইসরায়েলি রকেট একটি স্কুলে আঘাত করেছে। ঘটনাটিকে একটি ভয়াবহ গণহত্যা হিসেবে
বর্ণনা করেছে তারা। হামলায় নিহত অনেকের দেহে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
স্কুলটিতে
শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে ফজর নামাজ আদায়কালে ইসরায়েল রকেট হামলা চালায়। এতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন।
গত
বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৯
হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত অনেকের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো বলছে, গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহতার চরম পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। নিরীহ মানুষদের রক্ষায় এখনি যুদ্ধ বন্ধের দাবি করা হচ্ছে।