দেশব্যাপী আপামর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। এতে সরকারের পতন ঘটলে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
বাংলাদেশের এই অভ্যন্তরীন বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাজের প্রতীক্ষায় রয়েছে তারা।
গতকাল (২০ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এগুলো বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
তিনি বলেন, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো বিষয়কে সামনে রেখে দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে পেন্টাগন।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে পেন্টাগন কীভাবে দেখছে? এই ক্রান্তিকালে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনও ধরনের সহযোগিতা বা যোগাযোগ হচ্ছে?
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি জানেন, বাংলাদেশের সাথে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো বিষয়কে সামনে রেখে দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। তবে এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট কোনও যোগাযোগ বা সহযোগিতার বিষয়ে বলার মতো কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে বলব, আমরা অবশ্যই মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং যেকোনও সহিংসতা এড়ানোর প্রত্যাশা করব। তবে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমি আপনাকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ রাখার জন্য বলব।