সুইডিশ পরিবেশ ও জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (৪ সেপ্টেম্বর) কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে অবস্থান নিয়ে ইহুদিবাদী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্ন ও বয়কটের ডাক দেওয়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডেনিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের সময় গ্রেটা থুনবার্গ-সহ অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি একস্ত্রাবলাডেটে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ২১ বছর বয়সী জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ফিলিস্তিনিদের ঐহিত্যবাহী কালো ও সাদা রঙের কেফিয়াহ কাঁধে পরেছেন। সেখানে ইহুদিবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবিতে একদল শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের সময় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা পুলিশের সদস্যরা গ্রেটা থুনবার্গ-সহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া গ্রেটার এক পোস্টে দেখা যায়, কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে 'দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা' শিরোনামে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কয়েক ডজন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনে দাঙ্গা পুলিশের সদস্যদের প্রবেশ করতে দেখা যায় ছবিতে।
কোপেনহেগেন পুলিশের একজন মুখপাত্র ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের নাম আমি এই মুহূর্তে নিশ্চিত করতে পারছি না। তবে বিক্ষোভে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
'গ্রেপ্তারকৃতরা জোর করে ভবনে প্রবেশ করেছেন এবং প্রবেশ পথ আটকে দিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে,' বলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে দ্য স্টুডেন্টস এগেইনস্ট অকুপেশন বলেছে, ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি যখন আরও খারাপ হচ্ছে, তখন কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আমরা একটি দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসন ভবন দখলে নিয়েছি : ইহুদিবাদী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এই মুহূর্ত থেকে একাডেমিক বয়কট।"
গাজায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের প্রতিবাদে গত বসন্ত থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ করে আসছেন।