ওয়্যারলেস সিস্টেমের যোগাযোগ ডিভাইস পেজার বিস্ফোরিত হয়ে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানি একটি চোখ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় তার অপর চোখটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত পেজারে বিস্ফোরণ ঘটায় দখলদার ইসরায়েল। একেঅপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনের বদলে পেজার ব্যবহার করতেন হিজবুল্লাহর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইরানের রাষ্ট্রদূতের কাছেও একটি পেজার ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, পেজার বিস্ফোরণে মোজতবা আমানির আহত হওয়ার প্রাথমিক যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল সেটির তুলনায় তার জখম আরও গুরুতর। তাকে চিকিৎসার জন্য তেহরানে নিয়ে যাওয়া হবে।
সৌদির মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আলহাদাত বৈরুতের ইরানি দূতাবাসের বরাতে গতকাল জানিয়েছিল মোসতাবা আমানি সুস্থ আছেন এবং তার জখম অতটা গভীর নয়। তবে আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস জানালো অন্য তথ্য।
দখলদার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বিস্ফোরিত হওয়া এসব পেজারে অত্যন্ত সুকৌশলে বিস্ফোরক স্থাপন করে দিয়েছিল। এই পেজারগুলো মাত্র ৫ মাস আগে লেবাননে আসে। চলতি বছরের শুরুতে হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ যোদ্ধাদের নির্দেশ দেন তারা যেন যোগাযোগের জন্য পুরোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। কারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইসরায়েলিরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছিল।
ইসরায়েলের এই পেজার হামলায় লেবাননে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার। যারা আহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই হাত ও চোখ হারিয়েছেন। কারণ বিস্ফোরিত হওয়ার আগে এসব পেজারে বার্তা এসেছিল। যখনই তারা বার্তাটি দেখার জন্য ডিভাইসটি হাতে নেন তখনই এটি বিস্ফোরিত হয়।