ভারতে বৈধ
বা অবৈধভাবে বসবাসকারী কিংবা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের নিয়ে বিজেপি নেতাদের তীর্যক
মন্তব্য নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু
অধিকারী এবার এই তালিকায় যোগ করলেন আরও একটি মন্তব্য।
তিনি
বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশির সংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ। শুধু
পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঝাড়খণ্ডও এই সমস্যা নিয়ে
বিপদে পড়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সীমান্তে বেড়া নির্মাণে জমি দিচ্ছেন না।
গত
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর)
ঝাড়খণ্ড বিধান সভার নির্বাচনে জনসভায় অংশ নিতে ধানবাদে যাওয়ার আগে বোকারো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শুভেন্দু
বলেন, মমতার কারণে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করছে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফলে সীমান্তে
বেড়া নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) জমি দিচ্ছেন না তিনি। মমতা শুধু
নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
২০২২ সালে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকারগুলোর
সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে মমতাকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের সীমান্তে ৭২টি জায়গা
রয়েছে যেখানে কাঁটাতারের বেড়ার জন্য বিএসএফের জমি দরকার। কিন্তু তিনি এটি হতে দেননি।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও বিচারাধীন।
পশ্চিমবঙ্গ,
আসাম, ত্রিপুরার বাইরে ভারতবর্ষের ‘হিন্দি বলয়ের রাজ্য’ হিসেবে সবচেয়ে বেশি বাংলা বলা হয় ঝাড়খণ্ডে। সেখানকার দ্বিতীয় সরকার স্বীকৃত ভাষা বাংলা। রাজ্যটিতে প্রায় ৯০ লাখ বাংলাভাষী
মানুষের বসবাস। সাম্প্রতিক সময়ে সে সংখ্যা বাড়ছে
হু হু করে।
বিজেপির
দাবি, অনুপ্রবেশের জেরেই বাড়ছে বাংলাভাষী মানুষ।
অভিযোগ
উঠেছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি নেতারা ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যু হাতিয়ার করছেন।