ইসরায়েলের
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে
দিয়ে বলেছেন, চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালাবে ইসরায়েলি বাহিনী।
এছাড়াও লেবাননে ইসরায়েলের অভিযান ও হামলাও চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
গতকাল (২৭
সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে গাজা
এবং লেবানন ইস্যুতে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নেতানিয়াহু। ভাষণে তিনি বলেন, “গাজায় আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো সেখানে আমাদের আটকে থাকা জিম্মিদের উদ্ধার এবং ক্ষমতাসীন হামাসকে বিদায় করা। গাজায় চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আমাদের
অভিযান চলবে।”
"হামাস
গাজায় ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় যদি যুদ্ধবিরতি হয়…তাহলে এই
তারা ফের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং ইসরায়েলের লক্ষ্য করে বার বার হামলা চালাবে। তাই হামাসকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে।”
২০২৩
সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের
ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের একদল যোদ্ধা। সেখানে ১ হাজার ২০০
জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
এ
ঘটনার পর ওই দিন
থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায়
নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ হাজারেরও বেশি
বং আহত হয়েছেন ৮০ হাজারেরও বেশি
ফিলিস্তিনি। নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী
এবং শিশু।
এদিকে
গাজায় অভিযান পরিচালনা শুরুর পর থেকে হামাসের
প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া
শুরু করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র মুসলিম গোষ্ঠী হিজবুল্লা। লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইসরায়েলও।
তবে
গত সপ্তাহ থেকে লেবাননের অভ্যন্তরে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এই অভিযানে ইতোমধ্যে
নিহত হয়েছেন হিজবুল্লার চার জন শীর্ষ কমান্ডার।
জাতিসংঘে
দেওয়া ভাষণে এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু
বলেন, “নিজেদের ভূখণ্ড এবং নাগরিকদের রক্ষা করার সম্পূর্ণ অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে এবং গাজা-লেবাননে আমরা ঠিক তা ই করছি...আমাদের লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত লেবাননে
অভিযান চলবে।”