আজ (২৯ অক্টোবর), হিজবুল্লাহর শুরা কাউন্সিল ( কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা) কর্তৃক শেখ নাইম কাসেমকে হিজবুল্লাহ প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ৭১ বছর বয়েসে হিজবুল্লাহর প্রধান নির্বাচিত হলেন এই নেতা।
হিযবুল্লাহর শুরা কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়,“সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে…, হিজবুল্লাহর নীতি ও লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্য এবং মহাসচিব নির্বাচনের জন্য প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি অনুসরণ করে, হিজবুল্লাহর শুরা কাউন্সিল এটির বিশিষ্ট ব্যক্তি শেখ নাইম কাসেমকে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল নির্বাচিত করেছে এবং তাকে দায়িত্ব অর্পণ করেছে। আমরা সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন তাকে হিজবুল্লাহ এবং এর ইসলামী প্রতিরোধের নেতৃত্ব দেওয়ার এই সম্মানজনক মিশনে সফলতা দান করেন,” সুত্রঃ প্রেস টিভি ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,” নিহতদের, ইসলামি প্রতিরোধের যোদ্ধাদের পাশাপাশি অবিচল ও অনুগত লেবাননের জাতির কাছেও অঙ্গীকার করা হয়েছে যে হিজবুল্লাহ প্রতিরোধের শিখাকে জীবন্ত রাখতে তার নীতি, লক্ষ্য এবং পথের পাশে দাঁড়াবে এবং চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত এর পতাকা সমুন্নত থাকবে।“ .
শেখ কাসেম হিজবুল্লাহর একজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিত্ব, তিনি ১৯৯১ সাল থেকে লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠীটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি হিজবুল্লাহর প্রয়াত মহাসচিব আব্বাস আল-মুসাভির অধীনে ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত হন। আল-মুসাভি ১৯৯২ সালে ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন এবং এর পরবর্তীতে হাসান নাসরুল্লাহ গোষ্ঠীটির প্রধান নেতা হন।
শেখ নাইম কাসেম ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত লেবানিজ আমাল আন্দোলনের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করেন। ইরানের ইসলামি বিপ্লবের প্রেক্ষিতে তিনি ১৯৭৯ সালে আমাল ত্যাগ করেন।
তিনি ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গঠনের প্রথমদিকের আলোচনা তেও অংশ নিয়েছিলেন।
শেখ কাসেম দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রধান মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। বিদেশী মিডিয়ার সাথে অনেক সাক্ষাতকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তার।
তিনি ১৯৫৩ সালে বৈরুতের বাস্তা তাহতা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার পরিবার মূলত লেবাননের দক্ষিণ নাবাতিহ প্রদেশের কাফার ফিলা শহরে বসবাস করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলী হামলায় প্রাণ হারান হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।