ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থিদের
টানা বিক্ষোভের মুখে জর্জিয়ার পার্লামেন্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ
দিয়েছে মিখায়েল কাভেলাশভিলিকে। কৃষ্ণ সাগরের পাড়ে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগলিক অবস্থানের
কারণে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তু রাজনীতি ছেড়ে একটু
খেলার প্রসঙ্গে আসাই যায়। কেননা আগামী ২৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে
যাওয়া মিখায়েল কাভেলাশভিলি ছিলেন জর্জিয়ার জাতীয় দলের ফুটবলার।
জর্জিয়ার
জার্সি গায়ে চড়িয়ে এই স্ট্রাইকার খেলেছেন ৪৬টি ম্যাচ। খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও।
সেখানে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন সাবেক এই ফুটবলার। ফুটবল ছাড়ার পর
রাজনীতিতে যোগ দেন মিখায়েল।
৫৩ বছর বয়সী
মিখাইল কাভেলাশভিলি ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার। প্রেসিডেন্ট
পদের জন্য তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। যদিও প্রধান চারটি বিরোধী দল কাভেলাশভিলিকে
প্রত্যাখ্যান এবং পার্লামেন্ট বর্জন করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের
সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে মিখায়েলের। ২০১৬ সালে তিনি প্রথমবার পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচিত
হন। ২০২২ সালে জর্জিয়ায় সরকারবিরোধী গণ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন মিখায়েল।
যদিও পরে জর্জিয়ান ড্রিমের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতায় আসে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল।
২০০৮ সালে
রাশিয়া-জর্জিয়া সংঘর্ষের পর দু'দেশের সম্পর্কের অবনতি হলেও জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি রাশিয়ার
সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ছিল।
গত কিছুদিন
ধরে রাজনৈতিক আন্দোলনে আবার উত্তাল হয়ে ওঠে জর্জিয়া। রুশপন্থী সরকারপক্ষ এবং পশ্চিমাপন্থী
বিরোধীদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই মূলত এই অশান্তির সৃষ্টি হয়।
কাভেলাশভিলি
ছিলেন প্রেসিডেন্ট পদে একমাত্র প্রার্থী। কারণ দেশের প্রধান চারটি বিরোধী দল নির্বাচনের
বৈধতার প্রশ্ন তুলে সরে দাঁড়ায়। সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হননি। বর্তমান
পরিস্থিতিতে জর্জিয়ার সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ৩০০
জনের ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ফলে কাভেলাশভিলির নির্বাচিত হতে
বিশেষ সমস্যা হয়নি। নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়ালেও তার প্রতি সমর্থন ছিল
জর্জিয়ান ড্রিমের।
ইংলিশ প্রিমিয়ার
লিগ ছাড়াও সুইস লিগের কয়েকটি দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাবেক এই ফুটবলারের। ২০০২ সালে
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান মিখায়েল কাভেলাশভিলি।