যুক্তরাষ্ট্রের
স্থানীয় সময় (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র
অধিদপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, বাংলাদেশে বিগত সরকারের আমলে শত শত
বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও
বলেন, জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের
জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা বা মানসিক যন্ত্রণা দেয়। এটি তাদের পরিবারের
ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে।
এদিনের প্রেস
ব্রিফিংয়ে গুম এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন,
যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমকান্ডে জড়িত থাকা নিয়ে চলমান তদন্তকে সমর্থন
জানিয়েছে।
এসময়ে সাংবাদিক
বেদান্ত প্যাটেলকে বলেন, যুক্তরাষ্টের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বাংলাদেশে
তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা
গেছে গুমকান্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গুমকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
এই প্রশ্নের
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, বিগত প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে শত শত নাগরিককে গুম
করা হয়েছে এমন প্রিওতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার
লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা বা মানসিক
যন্ত্রণা দেয়। এটি তাদের পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী
এমন গর্হিত অপরাধ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই।
একই সাথে এসব ঘটনায় যারা ভুক্তভোগী এবং এদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের
জন্য ন্যায্য এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।