২০২৪ সালে গাজা ও ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে হাজারো শিশু নিহত হয়েছে৷ নিহতের চেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে৷ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানায়৷
ইউনিসেফ জানায়, ২০২৪ সালে গাজা, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার শিশু নিহত হয়েছে। যুদ্ধে যেই সংখ্যক শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে বেশিসংখ্যক অপুষ্টিতে ভুগছে। যেতে পারছে না স্কুলে এবং পাচ্ছে না টিকার মতো অতিপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা।
বিবৃতিতে সংস্থাটি আরো জানায়, রেকর্ডসংখ্যক শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে কিংবা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অতীতে কখনো এত সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হয়নি। সংস্থাটির অনুমান, সারাবিশ্বে ৪৭ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি শিশু যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় বাস করছে৷ অর্থাৎ প্রতি ছয়জনে এক শিশু এমন পরিস্থিতির শিকার৷এর ফলে রেকর্ড সংখ্যক শিশু মারা গেছে, আহত হয়েছে কিংবা অধিকার বঞ্চিত হয়েছে৷
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিনা রাসেল বলেন, যে কোনো হিসেবে ইউনিসেফের ইতিহাসে বলা যায়, ২০২৪ সাল ছিল শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। বেশি আক্রান্ত যেখানে গাজা, ইউক্রেনসহ যুদ্ধ ও সংঘাতে লিপ্ত এলাকাগুলোতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানায় ইউনিসেফ।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। ইউক্রেনে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে পুরো ২০২৩ সালের তুলনায় বেশি শিশু হতাহতের শিকার হয়েছে।
এদিকে মধ্য আমেরিকার দেশ হাইতিতে শিশুদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা চলতি বছর এক হাজার ভাগ বেড়েছে। আফ্রিকার সংঘাত প্রবণ দেশ দক্ষিণ সুদানে বিশাল সংখ্যক শিশু এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুলে যেতে পারছে না।
রাসেল বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা প্রতিদিন নানাভাবে আক্রান্ত হয়। এরফলে তাদের শৈশব হারিয়ে যায়।
ইউনিসেফ বৈশ্বিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যুদ্ধ এবং সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে