যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃসংশ হামলা চলছেই। অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু। নিহত হওয়া ছাড়াও ইসরায়েলি হামলার কারণে এখনো বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ হয়ে আছেন ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার বাহিনীর হামলায় গাজায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ৫৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ ফিলিস্তিনি।নিহতদের মধ্যে শিশু ১৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং নারী ১১ হাজার ৯৪৬ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।