গতকাল (৬
জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই সিদ্ধান্তের
পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন কানাডার জনগণ নিজের
দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হিসেবে দেখতে চায়। আর এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই পদত্যাগ
করেছেন ট্রুডো।
আজ (৭ জানুয়ারি)
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে
বলা হয়, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে মত দেন, যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে কানাডার একীভূত হয়ে দেশটির ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া উচিত।
তিনি
লেখেন, কানাডার অনেক মানুষ মনেপ্রাণে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে চায়। কানাডার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে পর্বতসম বাণিজ্য ঘাটতি ও ভর্তুকি দিতে
হয়। যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভার বহন
করতে হচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো এ বিষয়গুলো জানতেন
এবং এ কারণেই পদত্যাগ
করেছেন।
তিনি
বলেন, “যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক হয়ে যায়,
তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর কমে যাবে
এবং তারা রাশিয়া এবং চীনের যুদ্ধজাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। যেগুলো তাদের অব্যাহতভাবেব ঘিরে রাখছে। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র এক, কী অসাধারণ দেশ
হবে এটি!”
এর আগে
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এ আকাঙক্ষা ব্যক্ত
করার পর কড়া জবাব
দেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেডে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি বার্তা পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, “সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যক।”
এছাড়া ট্রাম্পের
এমন পোস্টের পর গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এরআগে তিনি পানামা খালও দখলের
হুমকি দেন।