মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গত সোমবার শপথ গ্রহণ শেষেই একের পর এক নির্বাহী
আদেশে সই করেন। এরমপধ্যে অন্যতম একটি হল, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে
মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য এই ২২ অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই ট্রাম্পের বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক
পার্টির প্রভাব বেশি।
গতকাল (২১
জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে অবস্থিত অঙ্গরাজ্য শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি
জেনারেল) রব বন্টা উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে এ আদেশের
বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন। ম্যাসাচুসেটসসহ আরও ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা
সেই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। এসব তথ্য গতকাল (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে রব নিজেই ঘোষণা
করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার
অ্যাটর্নি জেনারেল তার বিবৃতিতে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ক
যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, তা অশোভন, অমার্জিত এবং পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
এই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খায় না। এই আদেশ জারির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার
বড় ধরনের অপব্যবহার করেছেন এবং এজন্য আমরা তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।”
“আদালতের
কাছে আমাদের অনুরোধ, যত শিগগির সম্ভব— এ আদেশ আটকে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং মামলা যতদিন চলবে, ততদিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের
অধিকার যেন কেড়ে না নেওয়া হয়।”
প্রসঙ্গত,
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেনসিয়াল ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়েই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন,
ক্ষমতায় গেলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বাতিল করা হবে।
আগামী
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই আদেশ।
উল্লেখ্য,
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম অধ্যাদেশে
বলা হয়েছে, দেশটির ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু মার্কিন নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত মার্কিন সংবিধানে আফ্রিকা থেকে আসা কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের সন্তানদের স্বীকৃতি দিতে আজ থেকে ১৫০
বছর আগে এ অধ্যাদেশ সংযোজন
করা হয়েছিল ।