দীর্ঘ প্রতীক্ষার
পর যুদ্ধবিরতিতে এসেছে ইসরায়েল-হামাস। ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাংকের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির
পর গত ৩ দিনে ২ হাজার ৪ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক পোঁছেছে।
গতকাল (২১
জানুয়ারি) ৮৯৭টি ট্রাক ঢুকেছে, আর আগের দিন সোমবার ৬৩০টি এবং বিরতির প্রথম দিন রোববার
৯১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছিল গাজায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন গাজা এবং পশ্চিমতীরে জাতিসংঘের সহায়তা
প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা মুহান্নাদ হাদি এ তথ্য।
তিনি
জানান, প্রবেশকৃত ট্রাকগুলোর মধ্যে ৫০টি ছিল জ্বালানিবাহী ছিল। বাকিগুলোতে ছিল ময়দা, শাকসবজি, মাংস, ওষুধ, চিকিৎসা উপকরণ, তাঁবু প্রভৃতি উপকরণ।
২০২৩
সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের
ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় অভিযান
শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৫ মাস
ধরে চলা সেই ভয়াবহ অভিযানে গাজায় নিয়মিত ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়নি আইডিএফ।
প্রসঙ্গত,
৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজা উপত্যকায় বসবাস করেন প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনি।
উপত্যকায় বেকারত্ব প্রকট এবং বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ
ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার পাঠানো
খাদ্য ও অর্থ সহায়তার
ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।
সামরিক
অভিযানের সময় আইডিএফ গাজায় ত্রাণের প্রবেশ সংকুচিত করায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন গাজার বাসিন্দারা। গত ১৫ মাসে
গাজায় যে প্রায় অর্ধলক্ষ
মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের একাংশের প্রাণহানির কারণ খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর
অভাব।
অভিযানের
১৫ মাসে গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুটপাটের বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে। তবে গত ৩ দিনে
কোনো লুটপাট হয়নি বলে জানিয়েছেন মুহান্নাদ হাদি।
"বিভিন্ন
এলাকায় মৃদু হট্টগোলের সংবাদ আমরা পেয়েছি। যেমন কয়েকটি স্থানে বাচ্চারা ট্রাকের ওপর উঠে খাবারের বাক্স নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কয়েকটি এলাকায় লোকজন কিছু পানির বোতল নিয়ে গেছে। এগুলোকে সংগঠিত অপরাধ বা লুটপাটের পর্যায়ে
ফেলা যায় না,” রয়টার্সকে বলেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর থেকে পাল্টা জবাবে প্রায় ১৫ মাস ধরে ফিলিস্তিনের
গাজা উপত্যকায় নৃশংসতম গণহত্যা চালিয়ে ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গাজাকে
কংক্রিট আর লাশের ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ইসরায়েল।
সূত্র
: রয়টার্স