ইসয়য়েল
নেটজারিম করিডোরের মধ্য দিয়ে রুট খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই
ঘন্টায় ২ লাখ বাস্তচ্যুত
ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরেছেন। তাদের
মধ্যে অনেকে আছেন যারা ১৫ মাসের যুদ্ধের
পর প্রথমবারের মতো প্রিয়জনদের কাছে ফিরেছেন।
ড্রোন
ফুটেজে দেখা গেছে, অসংখ্য ফিলিস্তিনি কোলে সন্তান, কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে উত্তর
দিকে হেঁটে রওনা হয়েছেন। কিন্তু যারা গাড়িতে রওনা হয়েছেন তাদের বিভিন্ন চেক পোস্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
গাজার
এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপি'র সঙ্গে কথা
বলার সময় জানিয়েছেন, ক্রসিং খোলার মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে ২ লাখের ও
বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ হেঁটে হেঁটে উত্তর গাজায় ফিরেছেন।
গাজার ওয়েস্ট
ব্যাংকের রামাল্লা
থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
ফিরে
এসে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি বাড়ি ঘরের ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাননি।
তারপর ও ফিরে আসার
আনন্দ ছিল চোখে মুখে।
কাঁধে
বেশ কয়েকটি ব্যাগ ঝুলিয়ে উত্তর গাজায় ফেরা আহমেদ নামে এক বাস্তুচ্যুত তরুণ
বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে চাই। আমি আমার মা এবং বাবাকে
দেখতে চাই। আমরা ১৫ মাস ধরে
তাদের দেখিনি।’
আহমেদ
(১৯) আরো বলেছেন, ‘আমি দেড় বছর ধরে আমার পরিবারের সাথে দেখা করিনি। আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি।
আমরা
ক্লান্ত। আমরা গাজায় যেতে চাই। আমরা আর কোথাও যেতে
চাইনা।’
গত
২৫ জানুয়ারি শনিবার ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফিরে আসার কথা ছিল, কিন্তু ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়াহুদকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তারা আটকে পড়েন।
এর
আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট
এবং সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট
পার হতে হবে।
গত
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলার পর গাজায় যুদ্ধ
শুর করে ইসরাইল। দীর্ঘ দেড় বছরের যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ৪৭ হাজারেরও বেশি
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। যাদের বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু। অবশেষে
গত ১৯ জানুয়ারি রোববার
ইসরাইল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। জাতিসংঘের হিসেবে গাজা যুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার শিশু
প্রাণ হারিয়েছে।
সূত্রঃ বাসস, এএফপি।