গতকাল (২৮
জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমন্টে অফিস (এফসিডিও) দেশটির নাগরিকদের পাকিস্তানের
বেশ কিছু অঞ্চলে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে।
সতর্কবার্তায়
প্রধানত, পাকিস্তানের যে কোনো সীমান্ত এলাকা ভ্রমণ না করতে নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে
এফসিডিও। এছাড়া সতর্কবার্তায় যেসব এলাকার কথা উল্লেখ আছে, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয়
প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া'র বাজাউর, বান্নু, বুনের, চারসাদ্দা, ডেরা ইসমাইল খান, খাইবার,
কোহাট, কুররম, লাক্কি মারওয়াত, লোয়ার দির, মোহমান্দ, ওরাকজাই, রাজধানী পেশোয়ার, সোয়াত,
তাঙ্ক, উত্তর ওয়াজিরিস্তান, আপার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, লোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান,
মারদান, চিত্রল, মানসেরা জেলা- সহজ ভাষায় পুরো খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ ভ্রমণ না করার
অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এফসিডিও'র
বিবৃতিতে আরও যেসব এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে পাকিস্তান ও চীনের মধ্য সংযোগস্থাপন সড়ক কারাকোরাম
হাইওয়ে এবং তার সংলগ্ন গিলগিট-বাল্টিস্তানের চিলাস জেলা, আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের সীমান্তের
সংলগ্ন ১০ মাইল এলাকা।
বেলুচিস্তানের
ব্যাপারে বলা হয়েছে প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল ভ্রমণ করা যাবে তবে এই প্রদেশের
অন্যান্য এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের
দুটি প্রদেশ - খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে সম্প্রতি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ
ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুটি প্রদেশেরই সীমান্ত
আফগানিস্তানের সাথে রয়েছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তান সরকার পাকিস্তানের এই
সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার
করেছে।
সরকারি
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পাকিস্তানে ৪৪৪টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ৬৮৫ জন সেনা এবং
৯২৭ জন বেসামরিক নাগরিক
প্রাণ হারিয়েছেন। গত এক দশকের
তুলনায় এ বছর হামলা
ও হতাহতের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেশি।
সন্ত্রাসী
ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে পাকিস্তান সরকার সেনা অভিযান শুরু করেছে। সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) এর তথ্য অনুযায়ী,
গত বছর যৌথ অভিযানে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হন।