মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্টের স্থানীয় সময় গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি)
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে মেক্সিকো-কানাডা ও চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে জারি
করা নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন
জানিয়েছে, দেশটিতে মাদক ও অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমিয়ে আনতে এই
শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এদিকে মার্কিন সংবাদ্মাধ্যম সিএনএনের মতে এই তিন দেশে পণ্যের
ওপর শুল্ক আরোপে অ্যাভোক্যাডো, বিভিন্ন জুতা, গাড়ি সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বহুলাংশে
বৃদ্ধি পাবে।
বিগত বছর
গুলোতে কানাডা-মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্কবিহীন বাণিজ্য হচ্ছে। এবার সেই
নীতি থেকে সরে এলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চীনের সঙ্গে বিগত দুই সরকারের বাণিজ্যিক
যুদ্ধ চলমান ছিল।
উল্লেখ্য,
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচিত হওয়ার পরই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেক্সিকোর সব ধরণের
পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং কানাডার অধিকাংশ পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আর চীনা পণ্যের ওপর ১০
শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্পের
এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ‘ডি মিনিমিস' লুপহোল
বন্ধ হয়ে যাবে যার সুবিধা ভোগ করত যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ব্যবসায়ীরা। এই নিয়মনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে
৮০০ ডলার বা তার চেয়ে কম দামের কোনো পণ্য আমদানি করলে কোনো ধরনের শুল্ক দিতে হতো না।
চীনা কোম্পানি শিন এবং থেমুও এই সুবিধা ভোগ করত।
ট্রাম্প প্রশাসনের
কর্মকর্তাদের ভাষ্যে, এই শিল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্য প্রাণঘাতী মাদক 'ফেনটানিল' এবং
অবৈধ অধিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশগুলো পাল্টা ব্যবস্থা নিলে,
মেক্সিকো, কানাডা, চীন এবং খোদ যুক্ত্ররাষ্ট্রেরই অর্থনীতি ব্যপক আকারে ক্ষতির সম্মুখীন
হবে।
কিন্তু এই
অবস্থা ঠেকাতে ট্রাম্প আগেই ব্যবস্থা রেখেছেন। নির্বাহী আদেশের একটি ধারায় উল্লেখ আছে,
যারা মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ
করবে তাদের ওপর শুল্কের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।