মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েই ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেক্সিকো-কানাডা এবং চীনের সব ধরণের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
শপথ গ্রহণ শেষেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ধারা অব্যাহত
রেখে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী
আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানিয়েছেন,
আগামী মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে মেক্সিকো ও কানাডার প্রায় সব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে
প্রবেশে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। অপরদিকে চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন
তিনি।
এমন নির্বাহী
আদেশ জারির পর তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করে শুল্ক আরোপের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা ও মেক্সিকো। অপরদিকে চীন জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংস্থার কাছে অভিযোগ জানাবে ও অনুরূপ পাল্টা ব্যবস্থা
নেবে।
যদিও ট্রাম্পের
দাবি নিজ দেশের মানুষকে প্রাণঘাতী মাদক ফেনটানিল থেকে বাঁচাতে এবং অবৈধ অভিবাসীদের
অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মেক্সিকোর
প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শিনবাম পার্দো বলেছেন, শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান
হবে না। সমস্যা সমাধানে আলোচনা করতে হবে।
ট্রাম্প
অভিযোগ করেছেন, মেক্সিকোর মাদক সম্রাটদের সঙ্গে দেশটির সরকারের সরাসরি যোগাযোগ আছে এবং তারা তাদের সহায়তা করেছে। তার এ অভিযোগের জবাবে
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পাল্টা দাবি করেছেন, মাদক সম্রাটদের কাছে যেন অস্ত্র না পৌঁছায় সেটি
যেন মার্কিন সরকার নিশ্চিত করে।
অপরদিকে
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা এই জায়গায় আসতে
চাইনি। আমরা এটি চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানদের জন্য দাঁড়াতে আমরা পিছপা হব না।”
ট্রুডো
জানিয়েছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ বিলিয়ন সমপরিমাণ পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক
আরোপ করবে। যারমধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের
পণ্যের ওপর আগামী মঙ্গলবার থেকেই শুল্ক আরোপ শুরু হবে। বাকি ১২৫ বিলিয়ন
ডলার সমপরিমাণ পণ্যের ওপর শুল্ক আগামী ২১ দিনের মধ্যে আরোপিত হবে।
সূত্র: বিবিসি,
সিএনএন