× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ইউএসএইডকে অপরাধী সংস্থা আখ্যা দিলেন মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:০৭ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী স্পেস এক্সের সিইও, মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সের মালিক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্টভাজন ইলন মাস্ক গতকাল (২ ফেব্রুয়ারি) এক্সে পোস্ট করা দু'টি বার্তায় উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সহায়তা প্রদানকারী মার্কিন সরকারি দাতা সংস্থা ইউএসএইডকে ‘অপরাধী সংস্থা' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এরমধ্যে এক্সে পোস্ট করা প্রথম বার্তায় তিনি বলেন, “ইউএসএইড একটি অপরাধী সংস্থা এবং এটির মৃত্যুর সময় এখন উপস্থিত।

পৃথক আরেকটি বার্তায় মার্কিন জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা কি জানেন যে ইউএসএইড আপনাদের করের টাকা জীবাণু অস্ত্র সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যয় করছে। এমনকি যে কোভিডের কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেখানেও বিনিয়োগ ছিল ইউএসএইডের।

এ বিষয়ে গতকাল (২ ফেব্রুয়ারি) স্থানিয় সময় সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, একদল উগ্র উন্মাদের দ্বারা এই সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে এবং আমরা তাদের বের করে দিচ্ছিতারপর আমরা এ সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি আরও জানান মাস্কের সব সিদ্ধান্তে একমত না হলেও বিশ্বের এই শীর্ষ ধনীর প্রতি তার সমর্থন অটুট থাকবে।

ট্রাম্প বলেন, “সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে তিনি খুবই উপযুক্ত। অনেক সময় অনেক ইস্যুতে আমরা একমত হতে পারি না কিংবা তার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি নাকিন্তু তিনি স্মার্ট ব্যক্তি এবং খুবই স্মার্ট। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট কাটছাঁটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের  দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, ইউএসএইড এবং ডজ, একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। তাদের এই দ্বন্দ্বের মূলে রয়েছে ক্ষমতার লড়াই এবং তথ্যের অধিকার।

ইউএসএইড, যা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মাধ্যমে গঠিত এবং বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সহায়তা প্রদান করে, তার কর্মকাণ্ডের জন্য কংগ্রেসের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে, ডজ, যা ট্রাম্পের উদ্যোগে গঠিত একটি নতুন দপ্তর, সরকারি অপচয় রোধ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে। এই দপ্তরটি এখনও পর্যন্ত পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতি পায়নি, কারণ কংগ্রেস এর অনুমোদন দেয়নি।

সম্প্রতি, ডজের কর্মকর্তারা ইউএসএইডের অফিসে গিয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখতে চাইলে, ইউএসএইড কর্মকর্তারা তাতে অস্বীকৃতি জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক ইউএসএইডকে 'অপরাধী সংস্থা' বলে মন্তব্য করেন।

এই ঘটনাটি দুটি সংস্থার মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং তথ্যের অধিকার নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। ইউএসএইড কি তাদের তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকার রাখে? নাকি ডজের সরকারি অপচয় রোধের লক্ষ্যে সেই তথ্য দেখার অধিকার আছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও অনেক জল ঘোলা হতে পারে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.