১৯৪৭ এ ভারত-পাকিস্তান
ভাগ হওয়ার পর থেকেই প্রায় আট দশক ধরে চলা কাশ্মির নিয়ে দুই দেশের সঙ্কট সমাধানে ভারতের
সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চেয়েছে। ইতোমধ্যেই কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
শেহবাজ শরিফ নিজেদের অবস্থানের ব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন।
শেহবাজ কাশ্মিরের
পূর্বের স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সাথে তিনি নিশ্চিত করেন, কাশ্মিরের জনগণের প্রতি পাকিস্তানের আদর্শগত, কূটনৈতিক
এবং রাজনৈতিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল (৫
ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মিরের বিধানসভার বিশেষ সেশনে ভাষণ দিয়েছেন শেহবাজ।
সেখানে তিনি বলেন, “আমরা কাশ্মিরসহ অন্যান্য যাবতীয় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
করতে চাই। ভারতের উচিত ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা এবং জাতিসংঘে
প্রদান করা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংলাপের জন্য এগিয়ে আসা।”
২০১৯ সালের
ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ
ফোর্সের (সিআরপিএফ) একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটে। এতে নিহত হন অন্তত
৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। হামলার মূল হোতা ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই মোহাম্মদ।
এই সন্ত্রাসী
হামলার ৬ মাস পর একই বছরের ৫ আগস্ট পার্লামেন্টে ভোটের ভিত্তিতে নয়াদিল্লি সংবিধান
থেকে জম্মু এবং কাশ্মিরকে ‘স্বায়ত্বশাসিত রাজ্য' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ৩৭০ নম্বর ধারা
বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মিরকে সরাসরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত
করা হয়।
সেসময় এই
ঘটনায় ইসলামাবাদ তীব্র নিন্দা জানায়। এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ঘটনার
জেরে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে নামিয়ে আনেন। বর্তমানেও দুই দেশের কূটনৈতিক
সম্পর্ক সেভাবেই আছে। এবং ধীরে ধীরে আরও খারাপের
দিকে যাচ্ছে।