শ্রীলঙ্কায়
সম্প্রতি দেশজুড়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়ের কারণ
হিসেবে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী কুমার জয়াকোডি একটি বানরের বিদ্যুৎ গ্রিডে অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করেছেন।
আজ
(১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি
নিউজ সূত্রে জানা যায়, রাজধানী কলম্বোর দক্ষিণের একটি পাওয়ার স্টেশনে একটি বানর ঢুকে পড়ে এবং গ্রিড ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে। এর ফলে বিদ্যুৎ
ব্যবস্থায় বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়, যা দেশব্যাপী বিদ্যুৎ
বিভ্রাটের কারণ হয়। এই ঘটনাটি দেশটির
২ কোটি ২০ লাখ মানুষের
জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। অনেক জায়গায় জেনারেটরের মাধ্যমে কাজ চালানো হয়। তবে হাসপাতাল ও পানি সরবরাহ
কেন্দ্রের মতো জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালুর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
জ্বালানিমন্ত্রী
কুমারা জয়কোদি সাংবাদিকদের বলেছেন, “একটি বানর আমাদের গ্রিড ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে এসেছে, যার ফলে সিস্টেমে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।”
বিবিসি
বলছে, রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এই ব্ল্যাকআউট শুরু
হয়, যার ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
এই
ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে
অনেকেই রসিকতা ও সমালোচনার ঝড়
তুলেছেন। মারিও নাওফাল নামে এক এক্স ব্যবহারকারী
তার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “দুর্বৃত্ত এক বানর কলম্বোর একটি সাবস্টেশনে প্রবেশের পর শ্রীলঙ্কার
পুরো পাওয়ার গ্রিড ব্যর্থ হয়ে গেছে। একটি বানর = সার্বিক বিশৃঙ্খলা। পরিকাঠামো নিয়ে
পুনরায় ভাবনা-চিন্তার সময় এসেছে?”
শ্রীনি আর
নামে আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী একটি বানরের মুখসহ হিন্দু দেবতা হনুমানের একটি ছবি পোস্ট
করেছেন। তিনি লিখেছেন, “শ্রীলঙ্কা অতীতে বানর ব্যবসার স্বাদ নিয়েছে।”
কেউ
আবার সরকারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি মিরর-এর প্রধান সম্পাদক
জামিলা হুসেন লিখেছেন, “শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কায়ই বানরের একটি দল একটি পাওয়ার
স্টেশনের ভেতরে লড়াই করে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হতে পারে।”
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, প্রকৌশলীরা বহু বছর ধরে পাওয়ার গ্রিড আধুনিক করার কথা বলে আসছেন, কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। তাদের দুর্বল পরিকাঠামোর কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকে মনে করছেন।