যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের
দাম বর্তমানে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা কয়েক মাস
আগেও এমন ছিল না। এখন ডজন প্রতি ডিমের দাম গড়ে ৪.৯৫ ডলার
(প্রায় ৬০০ টাকা), এবং কিছু কিছু অঞ্চলে দাম ১০ ডলাররেরও (প্রায় ১,২০০ টাকা) বেশি ছাড়িয়েছে। এই দাম বৃদ্ধির
কারণ হিসেবে বিশেষ করে চলমান বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবকে দায়ী করা হচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে
এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
মার্কিন শ্রম
পরিসংখ্যান ব্যুরোর জানুয়ারি মাসের মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচক অনুযায়ী, গত আগস্টের পর
থেকে ডিমের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আগের মাসে গড়ে ৪.৮২ ডলারে
ছিল ডজন প্রতি দাম, যা বর্তমানে আরো
বেড়েছে।
এটি ২০১৫
সালের শেষের দিকে ঘটে যাওয়া বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সবচেয়ে
বড় দাম বৃদ্ধি। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে
জানুয়ারিতে মার্কিন নাগরিকদের খাদ্য ব্যয় ২/৩ বেড়ে
গেছে, যা জীবনযাত্রার জন্য
বড় একটি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা
ধারণা করছেন, শিগগিরই ডিমের দাম কমবে না। বরং, ইস্টার সানডে ছুটির সময় দাম আরো বেড়ে যেতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগ আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছরে ডিমের দাম ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এছাড়াও, কিছু
অঞ্চলে খামারিরা খাঁচামুক্ত পদ্ধতিতে মুরগি পালন শুরু করেছেন, যার ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ওই
অঞ্চলের ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা মজুত করতে শুরু করলে বাজারে সংকট আরো গভীর হতে পারে।
কোব্যাংকের বিশ্লেষক
ব্রায়ান আর্নেস্ট জানিয়েছেন, "ডিমের দাম বেশি থাকলে ক্রেতারা কম ডিম কিনতে
উৎসাহিত হবে, তবে দামের উপর তা তেমন প্রভাব
ফেলবে না। ডিমের দাম কমতে এবং বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।"
এই পরিস্থিতি
ডিমের বাজারে এক নতুন অস্থিরতা
তৈরি করেছে, যা আগামী কিছু
মাসে আরও বাড়তে পারে।