রাশিয়া
ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চার ঘণ্টাব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া মন্তব্য করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠকটি অত্যন্ত
ইতিবাচক এবং গঠনমূলক ছিল। আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) রিয়াদে
অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে রাশিয়ার
সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানকে বলেন, ‘‘অত্যন্ত ইতিবাচক, গঠনমূলক সংলাপ শুরু হয়েছে।’’
তিনি
বলেন, ‘‘রাশিয়ার অবস্থান কখনই শোনার চেষ্টা না করা জো
বাইডেনের প্রশাসনের মতো নয়। বরং, এই বৈঠকে সংলাপ
শুরু করার এবং রাশিয়ার অবস্থান বোঝার একটি পরিষ্কার প্রচেষ্টা ছিল, যাতে আমরা ঐক্যমত পোষণ করা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি।’’
রুশ
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইয়োরি উশাকভ বৈঠক সম্পর্কে বলেন, ‘‘খারাপ নয়, খারাপ নয়। তবে, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে কি না তা
বলা কঠিন। তবে, আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’’
তিনি
আরও বলেন, মস্কো এবং ওয়াশিংটন উভয়েই আগ্রহী হওয়ায়, তারা পরস্পরের স্বার্থের বিষয় বিবেচনা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের বিষয়টি দুটি দেশের পৃথক দল পরবর্তীতে যোগাযোগ
করবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,
গত সপ্তাহে পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে
টেলিফোনে আলোচনার পর, রিয়াদে বৈঠকটির সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, বৈঠকে ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায়, ইউক্রেনের
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, "কিয়েভকে ছাড়া কোনও শান্তিচুক্তি আমরা মেনে নেব না।" তিনি আরও বলেন, ‘‘সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া এমন চুক্তি মানা হবে না।’’
বৈঠকে
রুশ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়োরি উশাকভ, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, এবং ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা