সৌদি
আরবের রাজধানী রিয়াদে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি।
তবে, এই বৈঠকে ইউক্রেনের
কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি,
যা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘অপ্রত্যাশিত' বলে উল্লেখ করেছেন।
এ
বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘হতাশ' হয়েছেন। তিনি জানান, তিন বছর ধরে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখে তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধ আরও
আগেই শেষ করা সম্ভব ছিল। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "এই যুদ্ধের বিষয়টি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত ছিল না। তবে, তারা আলোচনায় অংশ নিতে না পারার বিষয়
নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে, কিন্তু গত তিন বছর
ধরে তাদের জন্য এই সুযোগ খোলা
ছিল। খুব সহজেই যুদ্ধটি শেষ করা যেত।"
রিয়াদে
অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর রাশিয়া ও
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করতে একটি দল গঠনের জন্য
সম্মত হয়েছে। তবে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া কোনো শান্তি চুক্তির আওতায় ইউক্রেনে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর সেনা মোতায়েন মেনে নেবে না।
এদিকে,
সৌদি আরবে এই বৈঠকের পর
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি এখন “আরও আত্মবিশ্বাসী”। তিনি বলেন,
“বৈঠক ফলপ্রসূ ছিল এবং রাশিয়া এই ভয়ঙ্কর বর্বরতা
বন্ধ করতে চায়। আমি মনে করি, এই যুদ্ধ শেষ
করার ক্ষমতা আমার আছে।” ইউরোপীয় দেশগুলো যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে চায়, সেটি নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “যদি তারা তা করতে চায়,
তাহলে আমি এটি সম্পূর্ণ সমর্থন করি।”
এই
বৈঠকটি ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও
মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ এবং রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ।
রিয়াদে
এই বৈঠকের আগে, ইউরোপীয় নেতারা গত সোমবার প্যারিসে
এক বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের
বিষয়ে আলোচনা হয়, তবে তারা কোনও একক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।