সৌদি
আরবে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের
বৈঠকের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের
ফাটল স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জেলেনস্কি তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে
দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা বলেন এবং বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের মধ্যে তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেন, যিনি রাশিয়ার তৈরি অপতথ্যের ফাঁদে আটকা পড়েছেন।
এদিকে,
১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রতি জনসমর্থন মাত্র ৪ শতাংশে নেমে
এসেছে, যদিও জেলেনস্কি এই পরিসংখ্যান প্রত্যাখ্যান
করেছেন। তিনি বলেন, "এটি অপতথ্য," এবং যোগ করেন, "রাশিয়া থেকেই এই অপতথ্য ছড়ানো
হচ্ছে।" কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজির একটি
জরিপে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জেলেনস্কির প্রতি ৫৭ শতাংশ ইউক্রেনীয়র
আস্থা রয়েছে, যা ডিসেম্বর মাসে
৫২ শতাংশ ছিল।
সংবাদ
সম্মেলনে, জেলেনস্কি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ছিল ইউক্রেনের ভূগর্ভস্থ বিরল খনিজ সম্পদের অন্তত ৫০ শতাংশ মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া। তবে, জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
করেন, কারণ এতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ক কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
এছাড়া,
ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় নিয়ে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৩২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে, যার মধ্যে ১২০ বিলিয়ন ডলার এসেছে ইউক্রেনীয় করদাতাদের কাছ থেকে এবং বাকি ২০০ বিলিয়ন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের
কাছ থেকে। জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৬৭ বিলিয়ন ডলার
সহায়তা দিয়েছে, কিন্তু ট্রাম্প এর আগে দাবি
করেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিরল খনিজ সম্পদ চায়, যদি তারা সহায়তা অব্যাহত রাখে।