দীর্ঘ
পাঁচ দশক পর বাংলাদেশ ও
পাকিস্তান প্রথমবারের মতো সরকারি পর্যায়ে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। ১৯৭১ সালের পর এ ধরনের
বাণিজ্য এবারই প্রথম। ইতোমধ্যে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে প্রথম পণ্যের চালান, বা কার্গো, পাকিস্তানের
পোর্ট কাসিম থেকে যাত্রা শুরু করেছে এবং এটি আগামী মার্চের শুরুতে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
পাকিস্তানি
সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক
প্রতিবেদনে জানায়, পোর্ট কাসিম থেকে সরকারের মাধ্যমে প্রথম পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ
ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য আবার শুরু হলো, যা গত পাঁচ
দশক পর একটি বড়
অগ্রগতি।
পাকিস্তান
ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি সিবি ২৬ হাজার টন
চাল নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, যা ৪ মার্চ
চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথম সরকার
থেকে সরকার পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চালু হওয়ার দৃষ্টান্ত।
এছাড়া,
চলতি মাসের শুরুতে চূড়ান্ত হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তানের (টিসিপি)
মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫০ হাজার টন
চাল আমদানি করবে। এই চালান দুই
ধাপে বাংলাদেশে পৌঁছাবে, যার অর্ধেক ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ২৫ হাজার টন
আগামী মার্চের শুরুতে পৌঁছাবে।
গত
বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক
ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন ও ভারতে পলায়নের
পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতা বেড়েছে এবং কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তান
সরকারের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা আশা
করছেন যে, আগামী এক বছরের মধ্যে
বাংলাদেশ ওপাকিস্তানের বার্ষিক বাণিজ্য তিন বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা বর্তমানে থাকা
বাণিজ্য থেকে চারগুণ বেশি। পাশাপাশি, উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সফর ও বৈঠকও হয়েছে,
গত বছর বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছেন।