কিম
জং উনের বোন কিম ইয়ো জং আজ (৪ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনের পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় একাধিক উস্কানিমূলক হুমকি দিয়েছেন। রণতরীটি রবিবার (২ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে একটি নির্ধারিত সফরের জন্য পৌঁছেছিল।
কিম
ইয়ো জং আমেরিকার এই
পদক্ষেপকে "আমেরিকা এবং তার দোসরদের সংঘর্ষের হ্যিস্টিরিয়া" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর আগে তিনি
দক্ষিণ কোরিয়ার লাইভ-ফায়ার মহড়া সম্পর্কে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যাকে তিনি "আত্মহত্যার হ্যিস্টিরিয়া" বলেছিলেন।
কিম
ইয়ো জং বলেন, "আমরা
এই যে আমেরিকা কোরীয়
উপদ্বীপে তার কৌশলগত অস্ত্র স্থাপন করতে এসেছে, তা আমাদের নিরাপত্তার
জন্য ক্ষতিকর এবং আমরাও আমাদের শত্রুর নিরাপত্তাকে আরও হুমকির মুখে ফেলতে কৌশলগত স্তরে আরও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।"
তিনি
আরও বলেন, "এ বছর নতুন
প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমেরিকা
তার রাজনৈতিক এবং সামরিক উস্কানির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের শত্রুতামূলক নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।" কিম ইয়ো জং বলেছিলেন, "বর্তমানে আমেরিকা
যে শত্রুতামূলক নীতি অনুসরণ করছে, তা উত্তর কোরিয়ার
পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার যথেষ্ট কারণ তৈরি করছে।"
উল্লেখ্য,
উত্তর কোরিয়া একাধিকবার আমেরিকাকে এবং তার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক জোটকে দায়ী করেছে, কারণ তারা মনে করে এই জোট তাদের
পারমাণবিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বাধ্য করেছে।
দক্ষিণ
কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিম ইয়ো জং-এর মন্তব্যের
প্রতিক্রিয়ায় সতর্ক করেছে যে, তারা উত্তর কোরিয়ার যে কোনো উস্কানি
মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে কিমের হুমকিকে "মিথ্যাচার" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যা উত্তর কোরিয়ার
পারমাণবিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের উস্কানির জন্য গ্রহণযোগ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
এদিকে,
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম ইয়ো জং-এর বক্তব্যের
পর উত্তর কোরিয়া হয়তো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে, যার লক্ষ্য হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলি।
সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে