ইরানের
প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করবেন না। তিনি ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “আপনি যা ইচ্ছা তা
করতে পারেন।”
এই
মন্তব্যটি তিনি ট্রাম্পের চিঠি পাঠানোর পর জানিয়েছেন, যা
গতকাল (১১ মার্চ) ইরানের
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পেজেশকিয়ান বলেন, ‘‘হুমকির মুখে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনও আলোচনা করবে না।" তিনি
আরও বলেন, “আপনার যা ইচ্ছা তা
করুন, আমরা আপনার আদেশ বা হুমকি গ্রহণ
করব না।”
রাষ্ট্রীয়
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে পেজেশকিয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের যে আদেশ ও
হুমকি, তা আমাদের কাছে
অগ্রহণযোগ্য। আমি আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে আলোচনা করব না। আপনি যা ইচ্ছা তাই
করুন।’’
ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত শনিবার বলেছিলেন,
‘‘কোনও হুমকি দিয়ে তেহরানকে আলোচনায় টানা সম্ভব নয়।’’ এটি ট্রাম্পের কাছ থেকে ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য পাঠানো চিঠির পরপরই বলা হয়।
যদিও
ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে চুক্তি করার বিষয়ে একটি খোলা দরজা রেখেছেন, তবে তার প্রথম মেয়াদে তিনি ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার এবং দেশের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেছেন।
ফক্স
বিজনেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প
গত সপ্তাহে বলেন, “ইরানকে মোকাবিলা করার দুটি উপায় রয়েছে: এক, সামরিকভাবে, অথবা দুই, তাদের সঙ্গে চুক্তি করা, যাতে তারা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকে।”
ইরান
দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা অস্বীকার করে আসছে, তবে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সি (আইএইএ) জানিয়েছে, দেশটি “নাটকীয়ভাবে" ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম
সমৃদ্ধকরণ ত্বরান্বিত করেছে, যা উদ্বেগের সৃষ্টি
করেছে।
২০১৬
সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর, তিনি ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরান-বিশ্ব শক্তির পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান এবং ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক কাজ আরও দ্রুততর করতে শুরু করেছে।