গাজা
ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার উল্টোসুর গাইলেন। তিনি বলেছেন, গাজা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে বিতাড়িত করা হবে না এবং এমন
কোনো পরিকল্পনা নেই।
এদিন
ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক যৌথ ব্রিফিংয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন একে অপরের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক
সাংবাদিক ট্রাম্পকে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প এর জবাবে বলেন,
“(গাজা থেকে) কোনো ফিলিস্তিনিকে বিতাড়িত করা হবে না এবং এমন
কোনো পরিকল্পনা নেই।”
উল্লেখ্য,
গত ২০ জানুয়ারি শপথ
গ্রহণের পর ট্রাম্প গাজাকে
যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছিলেন। তার মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে আধুনিক শহর, বাণিজ্যিক ও বিনোদন কেন্দ্র
হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, “গাজা উপত্যকা ক্রয় এবং তার মালিকানার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এখন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বসবাসের অযোগ্য, তবে আমরা এটি সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি।”
ফিলিস্তিনিদের
স্থানান্তরের বিষয়েও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, “ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে। তারা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গায় বসবাস করছে।”
তবে
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের
কট্টরপন্থি রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেয়েছিল। তবে সম্প্রতি তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে, এবং এর প্রভাবে ট্রাম্পও
তার পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।
এদিকে,
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ, যিনি গাজা দখলের জন্য খুবই উৎসাহী ছিলেন, সম্প্রতি তেল আবিবে একটি নতুন অভিবাসন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা ২০ লাখ নাৎসীকে
(গাজার ফিলিস্তিনিদের) বাইরে ছেড়ে দিতে পারি না।”
সূত্র
: আনাদোলু এজেন্সি