ইরানের
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি মন্তব্য করেছেন যে, যদি ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা ঠেকিয়ে রাখতে
পারতো না। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু বিষয়ক আলোচনার ধারণাও নাকচ করেছেন।
আজ
(১৩ মার্চ) আল জাজিরা সংবাদমাধ্যমের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খামেনি জানিয়েছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা করে, তবুও ইরানের ওপর থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার আহ্বান সম্বলিত চিঠি পাওয়ার পর, খামেনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি খামেনিকে পরমাণু আলোচনার প্রস্তাবসহ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
খামেনি
বলেন, "আমরা জানি যে তারা (যুক্তরাষ্ট্র)
আলোচনার কোনো মর্যাদা দিবে না, তাহলে আলোচনার মানে কী?" তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই চিঠির উদ্দেশ্য
ছিল বৈশ্বিক জনমতকে বিভ্রান্ত করা।
তিনি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পরিণতি সম্পর্কে আরও বলেন, "এই আলোচনার মাধ্যমে
নিষেধাজ্ঞাগুলি আরও কঠোর হবে এবং ইরানের ওপর চাপ বাড়বে।" খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের দাবিগুলোকে অত্যাধিক এবং অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন।
২০১৫
সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পর, ২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে, তবে ইরান বারবার অস্বীকার করেছে যে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায়। খামেনি বলেন, "আমরা যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইতাম, যুক্তরাষ্ট্র তা ঠেকিয়ে রাখতে
পারতো না, কিন্তু আমরা তা চাই না।"
ইরান
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (আইএইএ) গত মাসে জানিয়েছিল
যে, ইরানের কাছে ৬০ শতাংশ পরিশোধিত
ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা পরমাণু অস্ত্র
তৈরি করতে প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
এদিকে,
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন এবং বলেছেন, "হুমকির মুখে আমরা আলোচনা করব না।" তিনি ট্রাম্পকে বলেন, "আপনার যা ইচ্ছা তাই
করুন।"