ছবিঃ সংগৃহীত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ঘোষণা করেছেন যে, বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থেই গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা উচিত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে, যেখানে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটও উপস্থিত ছিলেন, ট্রাম্প এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি ন্যাটো মহাসচিবকে বলেন, “আপনি জানেন মার্ক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের প্রয়োজন। এটা শুধু আমাদের নিরাপত্তা নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তারও বিষয়।” তিনি উল্লেখ করেন যে, গ্রিনল্যান্ডের উপকূলের কাছাকাছি রাশিয়া এবং চীনের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকি হতে পারে।
ট্রাম্প আরো বলেন, "আমি মনে করি, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা আমাদের হাতে আসবে। আমি এ নিয়ে আগে তেমন কিছু ভাবিনি, তবে এখন আমি একজন এমন ব্যক্তির সঙ্গে বসেছি, যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। নিকট ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে কথা বলব।"
এদিকে, গ্রিনল্যান্ডের নতুন নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ডেমোক্রাটিক পার্টির নেতা জেনস-ফ্রেডেরিক নিলসেন ট্রাম্পের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন এবং বলেছেন, “এটা একেবারেই অযথাযথ। এটি আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে বাধ্য করছে গ্রিনল্যান্ডের স্বার্থে।” গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেড়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন যথেষ্ট হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে থামা উচিত।”
গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার ৫৮৩ জন। এটি ডেনমার্কের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই ইনুইট জাতিগোষ্ঠীভুক্ত। গ্রিনল্যান্ডের ভূ-তত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, দ্বীপটির ভূগর্ভে মূল্যবান খনিজ পদার্থসহ জ্বালানি তেল রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ্রহ নতুন নয় ট্রাম্পের। ২০১৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি একবার বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ড কেনার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ২৫ নভেম্বর, ২০২২ সালে ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ড ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেন, "বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা জরুরি।"
তবে গ্রিনল্যান্ডের নেতা মিউটে ইতিমধ্যে এই দাবির প্রতি তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে বলেন, “গ্রিনল্যান্ড আমাদের, বিক্রির জন্য নয়। আমরা স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছি এবং তা বৃথা যেতে দেব না।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh