রাশিয়ার
কুরস্কে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয়
সেনাদের বিরুদ্ধে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে, রাশিয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের "সম্পূর্ণভাবে ঘেরাও" করে ফেলেছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এর সাথে একমত
নন।
রয়টার্সের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও রাশিয়ান ও উত্তর কোরিয়ান
বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তবে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী সম্ভাব্য নতুন আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারে বলে জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
গত
বছরের আগস্টে ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্ক অঞ্চলের দখল নিয়েছিল। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া সেই অঞ্চলে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের বিতাড়িত করার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই অবস্থায় মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের "সম্পূর্ণভাবে ঘেরাও" করেছে।
রাশিয়ার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনীয় সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার (৬
মাইল) দূরে সুদজা শহরের কাছে আরও দুটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ান
বাহিনী সুদজা শহরটি পুনরুদ্ধার করেছে।
এদিকে,
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার শীর্ষ জেনারেলদের ব্রিফিং শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘেরাও করা হয়নি, তবে মস্কো আক্রমণের জন্য বাহিনী জড়ো করছে। তিনি বলেন, "এটি সুমি অঞ্চলে আক্রমণের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয় এবং আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই
করব।"
শনিবার
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির আলোচনা হলে ইউরোপীয় দেশগুলো এবং পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে সমর্থন করার প্রস্তুতি জোরদার করছে। প্রতিরক্ষা প্রধানরা আগামী সপ্তাহে "জোরালো পরিকল্পনা" তৈরি করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে,
জেলেনস্কি আরও বলেন, "রাশিয়ান বাহিনীর এই গঠন ইঙ্গিত
দেয় যে মস্কো কূটনীতি
উপেক্ষা করে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চায়।"
জেলেনস্কি
তার বিবৃতিতে বলেন, কৌশলগত পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর পোকরোভস্কের কাছের যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে এবং ইউক্রেন সফলভাবে একটি নতুন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি জানান, এই নতুন “লং
নেপচুন” ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১০০০ কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে,
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী সুদজা শহরের বাইরে রুবানশিনা এবং জাওলেশেঙ্কা গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে।