ফ্রান্সের
এক আইনপ্রণেতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে
নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তার মতে, যে কারণে ফ্রান্স
যুক্তরাষ্ট্রকে এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন সেই মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না।
ফরাসি
সংবাদমাধ্যম লা মন্ডের খবর
অনুযায়ী, ফরাসি পার্লামেন্ট সদস্য রাফায়েল গ্লাকসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবারটি ফিরিয়ে
নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ভাস্কর্যটি যে
মূল্যবোধের প্রতীক, এখন আমেরিকা আর সে মূল্যবোধ
ধারণ করছে না।
রাফায়েল
গ্লাকসম্যান তার দাবি তুলে বলেন, "আমরা আমেরিকানদের বলব যারা অত্যাচারীদের পক্ষ বেছে নিয়েছে, যারা বৈজ্ঞানিক স্বাধীনতার দাবিতে গবেষকদের বরখাস্ত করেছে তাদের উচিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে
দেওয়া।" তিনি আরও জানান, ১৮৮৫ সালে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভাস্কর্য উপহার
দিয়েছিল, কিন্তু এখন তারা সেই মূর্তির মর্যাদা রাখতে পারছে না। তার মতে, এখন মূর্তিটি ফ্রান্সের হাতেই থাকা উচিত।
এদিন
গ্লাকসম্যান এক জনসমাবেশে এই
মন্তব্য করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের নীতির সমালোচনা করেছেন এবং স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে
নিয়ে ফ্রান্সের হাতে মূর্তিটি রাখার কথা বলেন।
এটি
১৮৮৫ সালে ফ্রান্স থেকে উপহার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়, এবং ১৮৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট গ্লোভার ক্লিভল্যান্ড মূর্তির উদ্বোধন করেন। ১৯২৪ সালে মার্কিন সরকার এই মূর্তিকে ‘জাতীয়
স্মৃতিস্তম্ভ’ হিসেবে ঘোষণা করে। গ্লাকসম্যানের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে এখন এই মূর্তিটি ফ্রান্সের
হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
গ্লাকসম্যান
ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন নিয়েও তার আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মার্কিন গবেষকরা যেন ফ্রান্সে এসে কাজ করতে পারেন, সেই জন্য ফরাসি সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেছেন।