ইসরায়েল,
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা চালিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গাজায় সর্বশেষ হামলা শুরু করার আগে ইসরায়েল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছে। যুদ্ধবিরতি শেষ করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা জুড়ে ফের ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল, যার ফলে প্রায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
এ
তথ্য আজ (১৮ মার্চ) সরাসরি
সম্প্রচারে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান— যারা শুধু ইসরায়েলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকেও আতঙ্কিত করতে চায়, তাদের মূল্য দিতে হবে। তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “এই গোষ্ঠীগুলোকে প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প গুরুত্ব সহকারে নিতে বলেছে, কারণ ট্রাম্প আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না
এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেবেন।”
অপরদিকে,
আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর ব্যাপক বিমান
হামলা শুরু করেছে। এই হামলায় প্রায়
দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারির পর
থেকে এটি ছিল গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।
ইসরায়েলি
কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই হামলায় হামাসের
কমান্ডার ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের
লক্ষ্য করা হয়েছে। ইসরায়েলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় হামলা আবারও শুরু হয়েছে।
মার্কিন
সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রভিদের মতে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরই ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক নির্দেশনায় গাজায় হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক আক্রমণ চালাচ্ছে।