মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি
(জেএফকে) হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত হাজার হাজার পৃষ্ঠার গোপন সরকারি নথি প্রকাশ করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের
ন্যাশনাল আর্কাইভ এসব নথি প্রকাশ করে। নতুন প্রকাশিত এই নথিগুলো ইতিহাসবিদদের
পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।
এতদিন
আগে, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প জেএফকে
হত্যাকাণ্ডের সবার শেষ রেকর্ড প্রকাশ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। তার নির্দেশের পর কেবল কেনেডির
হত্যাকাণ্ডের নথি নয়, তার ভাই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডি এবং
নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত অবশিষ্ট নথিও প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার,
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভ জানায় যে, “শ্রেণীবদ্ধকরণের জন্য পূর্বে আটকে রাখা সমস্ত রেকর্ড” এখন প্রকাশ করা হয়েছে এবং এগুলো অনলাইনে বা ব্যক্তিগতভাবে পাওয়া
যাবে। এই নথিগুলো প্রকাশের
প্রথম ধাপে প্রায় ৬৩ হাজার পৃষ্ঠার
নথি আর্কাইভের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ফাইল ডিজিটালাইজড হয়ে তা প্রকাশ করা
হবে।
তুলসি
গ্যাবার্ডের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয় জানায়, এই প্রকাশনায় প্রায়
৮০ হাজার পৃষ্ঠা গোপন রেকর্ড রয়েছে। ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির
হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত লাখ লাখ পৃষ্ঠার রেকর্ড জাতীয় আর্কাইভে জমা আছে, তবে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)
বেশ কিছু নথি আটকে রেখেছিল।
ওয়ারেন
কমিশন তদন্ত শেষে জানায় যে, কেনেডি হত্যায় লি হার্ভে অসওয়াল্ড
একাই জড়িত ছিলেন। তবে, এই সিদ্ধান্তের পরও
ডালাসে কেনেডির হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও বড় ষড়যন্ত্র ছিল
বলে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছে এবং ধীরগতিতে নথি প্রকাশ ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোকে আরও উস্কে দিয়েছে।
এছাড়া,
জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড
নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং নানা জনমত সমীক্ষা রয়েছে। ২০২৩ সালে গ্যালাপ সমীক্ষায় ৬৫ শতাংশ মার্কিন
নাগরিক বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন না যে লি
হার্ভে অসওয়াল্ড একাই কেনেডিকে হত্যা করেছিলেন।
এতদিন
কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টই এই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত
গোপন নথি প্রকাশে আগ্রহ দেখাননি, তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নথিগুলো প্রকাশ
করার উদ্যোগ নেন। এর পরেই, এই
হাজার হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি জনসমক্ষে আনা হয়।