ইরানকে
পরমাণু প্রকল্প ইস্যুতে সমঝোতায় আসার জন্য দুই মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এ বিষয়ে। মার্কিন
সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, আমিরাতের একজন কূটনীতিক বুধবার (১৯ মার্চ) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগশিকে চিঠিটি পৌঁছে দেন।
হোয়াইট
হাউসের সূত্রে জানা গেছে, চিঠিটি ট্রাম্প বেশ কড়া ভাষায় লিখেছেন। এতে তিনি বলেন, যদি ইরান সমঝোতায় আসতে রাজি না হয়, তবে
এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। চিঠিটি পাঠানোর আগে ইসরায়েল, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের কূটনীতিকদের সাথে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প।
চিঠিটি
মার্চ মাসের শুরুতে ট্রাম্প নিজেই লিখেছিলেন এবং সে সময় মার্কিন
সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেস নিউজে সাক্ষাৎকারে তিনি এর বিষয়ে নিশ্চিত
করেন। তিনি বলেন, “আমি তেহরানের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছি এবং আশা করছি তারা সমঝোতায় আসবে। যদি তারা না আসে, তাহলে
আমাদের সামরিক পথে এগোতে হবে এবং তা ভয়ঙ্কর হবে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “তাদের সামনে দুটি বিকল্প— অথবা তারা সমঝোতায় আসবে, অথবা সামরিক অভিযানের মুখে পড়বে।”
এদিকে,
খামেনি ট্রাম্পের প্রস্তাবকে নাকচ করে এক বার্তায় বলেন,
এটি শুধুমাত্র ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর একটি চাল।
ইরানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিটি গ্রহণের পর, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক্সিওসকে জানান, চিঠিটির পূর্ণাঙ্গ যাচাই করা হবে এবং তারপর এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া
জানানো হবে।
এছাড়া,
গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছিল যে, ইরান ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ
ইউরেনিয়াম মজুত করছে। এই ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতা
৯০ শতাংশে উন্নীত হলে, ইরান সহজেই পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে। তবে ইরান তাদের পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেছে।