বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই সময়ে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে আঞ্চলিক সংযোগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আজ (৪ এপ্রিল), থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা একমত হয়ে ব্যাংকক ঘোষণাপত্র এবং বিমসটেক ব্যাংকক ভিশন গ্রহণ করেন, যা সংগঠনটির জন্য একটি কৌশলগত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। এটি টেকসই উন্নয়ন এবং গভীর অর্থনৈতিক একীকরণের দিকে সংস্থাটিকে পরিচালিত করবে, এমনটি জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে।
বিমসটেক এর সনদ অনুযায়ী, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চেয়ারম্যানের পদ বর্ণানুক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন থাইল্যান্ডের কাছ থেকে বাংলাদেশের হাতে দায়িত্ব বুঝে দেওয়া হয়।
এ সম্মেলনে বিমসটেকের সাত সদস্য রাষ্ট্র: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, এবং থাইল্যান্ডের নেতারা ‘সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং উন্মুক্ত বিমসটেক’ থিমের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয় অংশগ্রহণকারী নেতাদের একটি প্রতীকী গ্রুপ ছবির মাধ্যমে। এরপর, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, বিদায়ী বিমসটেক সভাপতি, স্বাগত ভাষণ দেন। মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্যান্য বিমসটেক নেতারা আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে তাদের দেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বিবৃতি প্রদান করেন।