মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে প্রায় সব দেশের ওপর
নতুন বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন। তার এই পদক্ষেপের ফলে
বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
২
এপ্রিল, ২০২৫ থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কযুক্ত দেশের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপ করেছেন। এর মধ্যে ১২টি
দেশ— যেমন যুক্তরাজ্য, তুরস্ক এবং সিঙ্গাপুর— মৌলিক বা বেসলাইন ১০
শতাংশ শুল্ক পেয়েছে, অন্যদিকে অন্যান্য দেশের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশেরও বেশি।
সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর, যেখানে তা ৪৬ শতাংশ
এবং বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৭ শতাংশ নির্ধারণ
করা হয়েছে।
৫
এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্কের সংগ্রহ শুরু হয় এবং ৯
এপ্রিল থেকে ১০ শতাংশের বেশি
শুল্ক ধার্য করা দেশগুলোর শুল্ক সংগ্রহ শুরু হবে। এর মধ্যে অনেক
দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার বা স্থগিত করার
জন্য কূটনৈতিক অনুরোধ জানিয়েছে, তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে
তিনি অনমনীয়।
হোয়াইট
হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “আমরা শুল্ক স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা করছি না। অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য আলোচনা করতে আসছে এবং কিছু ক্ষেত্রে, তারা প্রচুর শুল্ক দেবে। আমরা ন্যায্য বাণিজ্য চাই।”
রোববার
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করার পর ট্রাম্প সংবাদিকদের
জানান, “জাপানকে মার্কিন পণ্যের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, কারণ বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রপ্তানির হার শূন্যের কাছাকাছি, অথচ তারা প্রতি বছর লাখ লাখ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে।”