ইরান
ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে উত্তেজনা চলছিল, এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সরাসরি হামলার হুমকিও দিয়েছিলেন যদি পরমাণু চুক্তি না হয়। তবে
এখন উভয় দেশের মধ্যে উত্তাপ কিছুটা কমেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে সরাসরি পারমাণবিক আলোচনায় বসতে চলেছে, যা নিশ্চিত করেছেন
ট্রাম্প নিজেই।
এ
বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বৈঠকের বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সোমবার বলেছেন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে
আলোচনাটি “খুব উচ্চ পর্যায়ে” হবে এবং সতর্ক করে দেন, আলোচনা সফল না হলে ইরানের
জন্য “খুব খারাপ দিন” হবে।
গত
মাসে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলেও, ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা উত্থাপন করেছিলেন। এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে আক্রমণ করার সম্ভাবনা উত্থাপন করেছিলেন।
ট্রাম্প
বলেন, “শনিবার (ইরানের সাথে) আমাদের একটি বড় বৈঠক রয়েছে
এবং আমরা তাদের সাথে সরাসরি কাজ করছি। যদি একটি চুক্তি হয়, তবে এটি হবে দুর্দান্ত।” তিনি আরও বলেন, যদি আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি না হয়, তবে
ইরান “বড় বিপদে” পড়বে।
ইরানের
পক্ষ থেকেও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এটিকে “একটি সুযোগ এবং একটি পরীক্ষা” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, “বল আমেরিকার কোর্টে।”
এটি
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা হ্রাস করার একটি বড় পদক্ষেপ হতে
পারে, যা গত কয়েক
দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বৈদেশিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় শক্তিধর দেশ
ইরানের সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)
নামক একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে
যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপর থেকে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সীমা অতিক্রম করে এবং বেসামরিক জ্বালানি কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত সীমার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পরমাণবিক উপাদান তৈরি করে, যা পারমাণবিক অস্ত্রের
জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের কাছাকাছি।